স্টাফ রিপোর্টার: জে এস সেলিম
গত দুই তিন সপ্তাহের ব্যবধানে ভোক্তা পর্যায়ে আলুর দাম ৪৫ ৳- ৫০৳ তেই ছিল, দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে জাত ভেদে ৭০৳-৭৫৳!
আলুর ভোক্তা পর্যায়ের দাম নিয়ন্ত্রণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাজারে ও আরোতে কয়েক সপ্তাহ ধরে ভোক্তা অধিদপ্তরের চৌকোষ কর্মকর্তাদের গঠিত টিম বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে আসছে এবং জরিমানাও করছে।
এতে কি কমানো সম্ভব আলুর দাম?
নাম প্রকাশে অনচ্ছুক একটি হিমাগারের একজন কর্মচারী জানান, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের হিমাগর অ্যাসোসিয়েশন কোন দিন কোন দরে আলু বিক্রি হবে সেই অনুযায়ী বাজারদর নির্ধারণ করে দেন। হিমাগর সিন্ডিকেট দের অপতৎপরতায় আলু চাষিরা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। আলু উৎপাদন খরচের ২০০% এর ও বেশি মূল্যে ভোক্তা পর্যায় বিক্রি হচ্ছে আলু।
২০২১-২২ অর্থবছরে আলু উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ১ লাখ মেট্রিক টন, সেখানে ২০২২-২৩ অর্থবছরে উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ৪ লাখ মেট্রিক টন। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ কোটি ১৬ লাখ মেট্রিক টন।
এবছরের লক্ষ্যমাত্রা ৯০ ভাগ আলু উৎপাদন সম্ভব হলে বাংলাদেশের চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত থাকবে দশ ভাগ আলু।
বিগত অর্থবছরে হিমাগারগুরু অভিযানে জরিমানা করা হলেও এই শক্তিশালী সিন্ডিকেট ভাঙ্গা সম্ভব হয়নি।
মৌসুমের শুরুতে ভোক্তা পর্যায়ে আলুর দাম ৭০৳ যা সাধারণ মানুষের করায় ক্ষমতার বাইরে।
সরকারের বিভিন্ন অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালনা করেও খুচরা বাজারে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না।
বাংলাদেশ সরকারের এখন হিমাগারনীতি মালা প্রণয়ন বাস্তবায়ন সময়ের দাবি।তাহলে বুকটা পর্যায়ে আলুর দাম সাধারনের সাধ্যের মধ্যে থাকবে।



